Friday, December 5, 2025
HomeScrollচিংড়িঘাটা মেট্রো প্রকল্পে জট, রাজ্যের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ রেলমন্ত্রীর
Kolkata Metro

চিংড়িঘাটা মেট্রো প্রকল্পে জট, রাজ্যের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ রেলমন্ত্রীর

চিংড়িঘাটায় কাজের জন্য ১০ মাস ধরে তৃণমূল সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না

নয়াদিল্লি: চিংড়িঘাটা মেট্রো (Chingrighata Metro) নিয়ে জট কেটেও যেন কাটতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে রেলমন্ত্রী।কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) সম্প্রসারণ প্রকল্পে দীর্ঘদিনের জটের জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Rail Minister Ashwini Vaishnaw)। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে ফের মেট্রো প্রকল্পে জমির অসুবিধার কথা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী৷ সংসদে দেওয়া এক লিখিত জবাবে তিনি জানান, ‘রাজ্যের অসহযোগিতা এবং বিভিন্ন অনুমোদন আটকে রাখার কারণেই বহু গুরুত্বপূর্ণ করিডোরে কাজ থমকে আছে।’ ইতিমধ্যে অরেঞ্জ লাইনের (Orange Line Kolkata Metro)(নিউ গড়িয়া থেকে দমদম এয়ারপোর্ট) নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু আছে। বেলেঘাটা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২২.২ কিমি অংশে পরিষেবা শুরু করার তোড়জোড় চলছে। কিন্তু চিংড়িঘাটায় কাজের জন্য ১০ মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কলকাতা ও শহরতলিতে মেট্রো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ও সময়সীমা নিয়ে কেন্দ্রের আপডেট জানতে চেয়েছিলেন। সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, ১৪ কিলোমিটার জোকা-এসপ্ল্যানেড লাইনের মাঝেরহাট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রায় ৬.২৬ কিমি কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। রেলমন্ত্রীর দাবি, এসপ্ল্যানেডের কাছে ড. বি.সি. রায় মার্কেটের ৫২৮টি দোকান এখনও সরানো হয়নি। রেল দোকানগুলির অস্থায়ী স্থানান্তরের ব্যবস্থা করলেও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের কারণে ৩.৫ বছর ধরে ঝুলে আছে। খিদিররপুর স্টেশনের জমি আটকে ছিল পাঁচ বছর। এই জমি কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের। প্রস্তাব পাঠানো হয় ২০২০ সালের আগস্টে। অনুমোদন মেলে পাঁচ বছরেরও বেশি পরে, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় বিএলওদের ‘ইচ্ছাকৃত ভুল’ নিয়ে সতর্ক করল কমিশন

নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট করিডোর-চিংড়িঘাটা সেকশনে ১০ মাস ধরে আটকে এনওসি। ২২.২ কিমি এই অংশে রেলওয়ে ডাইভারশন রোড তৈরি করলেও এনওসির জন্য ১০ মাস ধরে অপেক্ষা। বুধবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন চিংড়িহাটায় যে দুটি পিলারের মাঝে ৩৬৬ মিটার জুড়তে সিমেন্টের স্ল্য়াব বসানো বাকি। যানজট এড়াতে কলকাতা পুলিশ যে বিকল্প রাস্তা চেয়েছিল, তা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে এনওসি নিয়ে, কিন্তু ১০ মাস পরও সেই এনওসি মেলেনি। যদি রাজ্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়, তাহলে রাতে আট ঘণ্টা করে কাজ করলে মাত্র তিন দিনেই কাজ শেষ করা সম্ভব চিংড়িহাটায়।

নোয়াপাড়া-বারাসত লাইনে জমি না মেলায় কাজ স্থগিত। তিনি জানান, মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কয়েক হাজার দোকান ও ঝুপড়ি। এই লাইন নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থাও করছে না। একইরকমভাবে জমিজট এবং জবরদখলের কারণে কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের সম্প্রসারণের কাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে মাইকেলনগর পর্যন্ত কাজ চলছে। কিন্তু জমি জটের কারণে নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত ৭.৫ কিমি পর্যন্ত কাজ থমকে আছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা মিলছে না বলেও অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News